মুসবা তিন্নি : [২] চলতি করোনাকালে বাইরে তেমন মানুষজন নেই। তাইবলে থেমে থাকেনি প্রকৃতি। রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখন দৃষ্টি মেললেই ফুলের সমারোহ। লাল হলুদ রঙের মিশ্রনে বাহারী বর্ষার সতেজ ফুল এখন শোভা ছড়াচ্ছে। কদিন আগেও নগরীর সড়ক বিভাজনে হাসছিলো সূর্যমূখি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যমূখির দিন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সড়ক বিভাজনে আরো বাহারী সব ফুলের দোলায় বেড়েছে নগর সৌন্দয্য। ঋতু চক্রের আবর্তনে নয়নাভিরাম বর্ষাকালে ফুলের এক বর্ণিল আয়োজন নিয়ে এখন সেজেছে রাজশাহীর প্রকৃতি। সড়কের আইল্যান্ডে এখন কেবলই চোখ ধাধানো হাজারো প্রজাতির ফুলের সমারোহ।
[৩] মেঘ-বৃষ্টির দোলাচালে আকাশে কখনো কখনো গনগনে সূর্য। কখনো কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস, এরইমধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি। গ্রীষ্মের পর বর্ষায় প্রকৃতিতে আপন মহিমায় মেলে ধরেছে বাহারী সব ফুল। এ যেন প্রকৃতিজুড়ে রঙিন সাজ। রঙিন ফুলের পশরা বসেছে পুরো রাজশাহী নগরীজুড়ে। আর সড়ক বিভাজন যেস নতুন রুপে সেছেছে সবুজের বুকে হরেক রঙের পাপড়ি মেলে।
[৪] রাজশাহী নগরীর এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চোখ মেললেই এখন নয়নাভিরাম দৃশ্য। গাছে গাছে ফুলের অপরূপ সমারোহ। এদের মধ্যে সবার কাছে আকর্ষনীয় সড়কের বিভাজনে রঙ্গণসহ হাজারো ফুল। শোভাবর্ধণকারী ফুলের গালিচা যেন পেতেছে শহরের পথে প্রান্তরে। প্রতৃতিতে এখন শোভা ছড়াচ্ছে রঙিন হয়ে ফোটা আরো হাজারো ফুল। গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষা এলেও এখনো টিকে আছে, জারুল, সোনালু, হিজল, মে ফ্লাওয়ার। বর্ষার এসব ফুলের সতেজ হাসিতে মুগ্ধ হয়ে পড়েন সবাই।
[৫] প্রকৃতি তার আপন মহিমায় ঠিকই নিজেকে তুলে ধরেছে। অনেকের বাসাবাড়ির ছাদেও নানা রকম ফুল ফুটে থাকতে দেখা গেছে এই বর্ষায়। শহুরে জীবনের হাজারও ব্যস্ততার ফাঁকে এমন হাজারো ফুলের স্বর্গরাজ্য যেন প্রশান্তির দোলা দেয় মানবজীবনে। নগরীর উপশহরের শাহীন মঞ্জিল, সাগরপাড়ার তনুশ্রি ভিলা ছাড়াও বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ছাদে দেখা মিলেছে হরেক ফুলের।
[৬] রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এএইচএম মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘এখন এসব ফুলের মৌসুম। যা প্রকৃতিকে রঙিন করে তোলে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :