সাইদ রিপন ও জেরিন আহমেদ : [২] মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৯’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।
[৩] প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার। সামাজিক অনেক সূচকে দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর, যা ২০১৮ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে মহিলাদের বেশি। ২০১৯ সালে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭১ দশমিক ১ বছর। ২০১৮ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৮ বছর। অন্যদিকে মহিলাদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭৪ দশমিক ২ বছর, ৭৩ দশমিক ৮ বছর।
[৪] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বয়স্ক শিক্ষার হার (১৫ বছর বা তার বেশি) পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় প্রায় ২০ দশমিক দুই শতাংশ বেশি। সাত বছর বা তার বেশি বয়স্ক শিক্ষার ক্ষেত্রে এই হার প্রায় ১৭ দশমিক দুই শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে মরণশীলতা ছিল চার দশমিক নয়জন। ২০১৫ সালে এটি ছিল পাঁচ দশমিক একজন। এছাড়া প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে মরণশীলতার হার দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। যেটি ২০১৫ সালে ছিল হাজারে ২৯ জন। এছাড়া ২০১৯ সালে এক থেকে চার বছর বয়সী শিশু মৃত্যু কমে হয়েছে প্রতি হাজারে এক দশমিক সাতজন। যেটি ২০১৫ সালে ছিল দুজন। অন্যদিকে মাতৃমৃত্যুর হারও কমেছে। ২০১৫ সালে মাতৃ মৃত্যুর অনুপাত ছিল এক দশমিক ৮১, যেটি ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশে।
আপনার মতামত লিখুন :