মনিরুল ইসলাম : [২] আগামী অর্থ বছরে জরুরি নয় এমন সব খাতে অর্থ ছাড় কমাতে হবে। ৬ মাস পর সংসদে আয়-ব্যয়ের খসড়া বাজেট পেশ করার প্রস্তাব রাখেন সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
[৩] তিনি বলেন, ভাইরাস ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত থাকবে করোনা। তাই অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
[৪] তিনি বলেছেন, করোনার কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত, কর্মহীন হচ্ছে মানুষ, দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। তাই বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।
[৫] সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিতে বিরোধী দলীয় উপনেতা এসব কথা বলেন।
[৬] স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরও বলেন, আয়ের স্বল্পতা, অন্যদিকে ব্যয়ের বিশালতা সামনে। তাই সর্বত্র কৃচ্ছতা সাধণ করতে হবে, কারণ রাজস্ব আদায় হবে না। প্রবাসীরা কর্ম হারাচ্ছে, রেমিটেন্স ২০ থেকে ২৫ ভাগ কমে যাবে, এতে রিজার্ভে টান পড়বে। থোক বরাদ্দের ক্ষেত্রে যথাযথ মনিটরিং না করলে অপচয়-দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য আগামীতে মনিটারিং জোরদার করতে হবে। বাজেটে থোক বরাদ্দ দেওয়া খাতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
[৭] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বলেন, এই খাত থেকে বেশি টাকা আসবে না। বাজেটেরও বেশি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে, এই পাচার থামছে না। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনা কতদিনে শেষ হবে কেউ জানে না। তাই করোনার সঙ্গে বসবাস করেই অর্থনীতিকে সচল করতে হবে। কৃষিখাত সচল থাকলে পৃথিবীর কারো কোন সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, তাই কৃষিখাতে বরাদ্দ আরো বাড়াতে হবে।
[৮] বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ায় অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ঢামেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর অর্ধেকই খাবার খরচ। এটা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আরো বলেন, বাজেটের অগ্রাধিকার খাতের বরাদ্দ পর্যাপ্ত হয়নি। হয়তো সেই বরাদ্দ পর্যাপ্ত করার জন্য থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে থোক বরাদ্দের ব্যাপারে যথার্থতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত একটি মনিটরিং টিম বা সমন্বয় কমিটি গঠন করলে তারা বিষয়গুলো মনিটর করতে পারবে।
[৯] জি এম কাদের বলেন, বাজেটে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। ঘাটতি কমাতে হলে ব্যয় কমাতে হবে। আয় বাড়াতে হবে। পরিচালন ব্যয় কমানো কঠিন কাজ। তবুও যতটা সম্ভব কৃচ্ছ্রতা সাধনের ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নয়ন ব্যয়ে কিছুটা কাটছাঁট করে করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় তা ব্যয় করতে হবে
আপনার মতামত লিখুন :