দেবদুলাল মুন্না: [২] দাফনের জন্য এ বডিব্যাগ সাধারণত ওয়াটার-প্রুফ মানে পানি নিরোধক। এটি তৈরি করতে সাধারণত ভেতরে দুই পরতে পলি প্রোপাইলিন দিয়ে তৈরি কাপড় ব্যবহার করা হয়। এর মাথাগুলো এমন ভাবে মুড়ে দেয়া হয়, যাতে মৃতদেহ থেকে কোনো জলীয় পদার্থ বা তরল ব্যাগের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।বহন করার জন্য এর চারপাশে চারটি থেকে আটটি হাতল থাকে। সামনের অংশে চেন লাগানো থাকে।
[৩] শুরুতে মরদেহ বহনের যে ব্যাগগুলো ব্যবহার করা হত, সেগুলো চীন থেকে আসত। পরে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশেই এগুলো বানাতে শুরু করেন। এখন স্থানীয় উদ্যোক্তাদের কাছ থেকেই কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের অর্থাৎ সিএমএসডি’র মাধ্যমে বডিব্যাগ কিনছে সরকার।
[৪] বাংলাদেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৮শে জুন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৩৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮৮৪ জন ব্যক্তির দাফন করেছে বেসরকারি সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এই প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত মোট ৭০০ জনকে নিজেদের তৈরি বডিব্যাগে দাফন করেছে।
[৫] কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন কার্যক্রমের সমন্বয়ক সালেহ আহমেদ বিবিসিকে বলেন, শুরুর দিকে সরকারের সরবারহ করা ব্যাগ ব্যবহার করতেন তারা। পরে আমাদের যে একটি গবেষণা সেল আছে, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বডিব্যাগের মাপ এবং গুনগত মান অনুসরণ করে একটি মডেল তৈরি করে, যা সরকারি সংস্থার কাছ থেকে আমরা পরে অনুমোদন পাই।এখন পর্যন্ত ১৩৯৮টি বডিব্যাগ বানিয়েছি আমরা, আরো উৎপাদন চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :