রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে যা বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৩] পানি বৃদ্ধি কারনে যমুনা নদী অধ্যুষিত জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ৩০ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলী জমি ও ঘর বাড়ি। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিচ্ছেন। বাঁধের উপর অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে তারা বসবাস করছেন। বিশুদ্ধ পানি গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। জেলার ১ হাজার ৫৩ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম।
[৪] এদিকে দ্রুত পানি বৃদ্ধির কারনে জেলার করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতী, হুরাসাগর, বড়াল, বিলসূর্য, গুমানীসহ অধিকাংশ নদনদীর পানিও বেড়েছে ।
[৫] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ.কে.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযারী, আজ রবিবার বেলা ১২ টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ দশমিক ৪৭ সেন্টেমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষনিক নদীর তলদেশে সার্ভে করছি। যাতে কোন ক্রুটি থাকলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়।
[৬] চৌহালী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন,চৌহালীতে যমুনা নদীর চরে প্রায় ১৭শ হেক্টর জমিলী জমি রয়েছে। এসব জমিতে পাট, তিল, বাদাম, ভূট্টা,আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়। বর্তমানে এসব জমির অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :