মহসীন কবির : [২] রোববার (২৮ জুন) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৭৩৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। মৃতদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন বাসায় ১২ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ১ জন।  বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ২১ জন চট্টগ্রামের ১০ জন, সিলেটের ৩ জন, রাজশাহীর ২ জন, রংপুরের ১ জন, খুলনার ৩ জন ময়মনসিংহের ১ জন এবং বরিশাল বিভাগের ২ জন।

[৪] বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে তিনি জানান, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন। ৪৩ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন বাসায় ১২ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ১ জন।

[৪] তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ৬৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭০৩৪ জনের। এর মধ্যে
আগের কিছু নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮০৯৯ জনের। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ।

[৫] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪০৯ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৫৭২৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

[৬] ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৭১৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ২৪ হাজার ৮১০ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬১ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১০ হাজার ২২৭ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৫২৩ জন।

[৭] গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যাও ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। তবে ৫৩ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।