মিনহাজুল আবেদীন : [২] পানির মান বাড়াতে বিদেশি ঋণের টাকায় বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করছে ওয়াসা। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতেই বারবার পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাট্রিবিউন
[৩] জানা গেছে, গত এক যুগে ১৩ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে পানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় চার গুণ। প্রথম আলো
[৪] ওয়াসার এমডি জানান, উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে আয় অর্ধেক হওয়ায় পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।
[৫] ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়িয়ে আসছে ঢাকা ওয়াসা। এরমধ্যে ২০১৬ সালে দুবার দাম বাড়ানো হয়েছে। আর সর্বশেষ চলতি বছরে ৮০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলো ওয়াসা।
[৬] ওয়াসা কর্মকর্তার বলছেন, বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নামে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে ঢাকা ওয়াসায়। এসব প্রকল্পে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ঋণ দিয়েছে। তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই পানি দাম বাড়িয়ে ঋণের অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[৭] জরিপে দেখা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকায় সেবা গ্রহীতাদের ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যাপ্ত পানি পান না। ওয়াসার পানি সরবরাহ ও বিলিং ব্যবস্থায় ন্যায্যতার ঘাটতি যেমন রয়েছে, তেমনি পানির মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। যুগান্তর
[৮] সেবা গ্রহীতাদের ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ সরবরাহকৃত পানি অপরিষ্কার এবং ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ পানিকে দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন। বিডিনিউজ
[৯] টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনোভাবেই পানির দাম বৃদ্ধি যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। এটা ঢাকা ওয়াসার স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ। যেই সেবায় মানুষের সন্তুষ্টি নেই, সেখানে ক্রমাগতভাবে অতিরিক্ত মূল্যের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। ঋণ পরিশোধের টাকা ওয়াসার নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হবে।
[১০] তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতো, তা হলে ব্যয় আরও কমে যাবে। এখনই এর বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :