সালেহ্ বিপ্লব : [২] নাম তার আবা তিলাহুন। পরিবারের দাবি তার বয়স ১১৪। কোভিড মহামারীতে বৃদ্ধ, বিশেষ করে, ৮০ পার হওয়া মানুষদের প্রাণহানির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলেই চিকিৎসকরা বলেছেন। কিন্তু সে আশংকাকে যেনো তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিলেন ইথিওপিয়ার এই মানুষটি। তবে জন্মসনদ না থাকায় বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটা হারিয়েছেন। বিবিসি
[৩] আবা তিলাহুন একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজক। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর দিন কাটছে নাতির সেবাযত্ন পেয়ে।
[৪] হাসপাতালে থাকার সময় নিজের পাশাপাশি দেশের সব মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্যে প্রার্থনা করেছেন তিনি, জানিয়েছেন এক সাক্ষাতকারে।
[৫] ইথিওপিয়ায় কোভিড পরিস্থিতিতে দারুণ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মারা গেছে ৮১ জন।
[৬] রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ব্যাপক হারে পরীক্ষা শুরুর পর আবা তিলাহুনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু তার মধ্যে কোনো উপসর্গ ছিলো না।
[৭] ইয়েকা কোতেবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চারদিনের মাথায় বৃদ্ধের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে অক্সিজেন দেয়া হতে থাকে। হাসপাতালে ১৪ দিনের মধ্যে টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় আবা তিলাহুনকে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. হাইলাফ আবাতে জানান, বয়োবৃদ্ধ রোগীকে এন্টিবায়োটিকের পাশাপাশি ডেক্সামেথাসন দেয়া হয়েছে।
[৮] ডা. হাইলাফ বলেন, আবা তিলাহুন যে কোভিড-যুদ্ধে জয়ী হলেন, এটি বিস্ময়কর! এই বয়সে এতোটা প্রতিরোধ ক্ষমতা কারো থাকার কথা না। যদিও বার্থ সার্টিফিকেট না থাকায় বৃদ্ধের দাবি করা বয়স প্রমাণ করা যাচ্ছে না। তবে হিসেব নিকেশ করে হাসপাতাল নিশ্চিত হয়েছে, বৃদ্ধের বয়স কমপক্ষে ১০৯।
আপনার মতামত লিখুন :