সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে ফুফাতো ভাই কর্তৃক মামাতো ভাইকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে ১টার দিকে রিফাত নামের ওই তরুণকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] শুক্রবার (২৬ জুন) সেফটিক ট্যাংক থেকে নিহত রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনের সিসি ক্যামেরার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গভীর রাতে এক ব্যক্তি অপর আহত এক ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। টেনে নিয়ে মূলত তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলা হয়।
[৪] ভবনের সিসি ক্যামেরার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বুধবার রাত ১টা ৪৯ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই ভবনের উপর থেকে একজন নিচে পড়েন। পরে তাকে এক ব্যক্তি টেনে গেটের ভেতরে নিয়ে যায়। টেনে নিয়ে মূলত তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলা দেয়া হয়। নিহতের পরিবার জানায়, রিফাত বুধবার নিখোঁজ হন। দক্ষিণ কাফরুলের ৩৭৯ সিমপ্লেক্স মাইলস্টোন নামক ওই ভবনে রিফাতের ফুফাতো ভাই রুবেল কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রিফাতের খোঁজে ভবনে যান তার মা। পানির ট্যাঙ্কিতে তার ছেলেকে মেরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
[৫] ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই ভবনের ফ্ল্যাট মালিকরা বিকট শব্দের বিষয়ে জানতে চাইলে কেয়ারটেকার রুবেল বলেন, একজন উপর থেকে পড়েছেন, তাকে দুজন তুলে নিয়ে গেছেন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে মুচলেকা নিয়ে বিদায় করে দেয়া হয় রুবেলকে। ভবনের বাসিন্দারা জানান, রাতে ভবনের আশপাশসহ পুরো সড়ক ফাঁকা ছিল। ওই সময় কেউ ছিলনা। হঠৎ করে ‘আমি পড়ে গেছি, আমারে ধর’ আমি পড়ে গেছি, আমারে ধর’ বলে চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। পরদিন সকালে ভবনের নিচে জুতা পড়ে থাকার পাশাপাশি ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের ক্যাবল ছেড়া দেখা যায়।
[৬] ভবনের একজন বাসিন্দা বলেন, চুরি করতে গিয়ে জানালা না ভাঙতে পেরে রিফাত নিচে পড়ে যায়। কেয়ারটেকার রুবেল ও রিফাত সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। ঘটনার সময় মাথায় কাজ না করায় বাধ্য হয়ে রিফাতকে ধরে নিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। ওই ভবনের ফ্ল্যাট অ্যাসোসিয়শনের সহকারী সচিব সত্য রঞ্জন পাল সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ জুন থেকে ভবনের কেয়ারটেকারের কাজ করছিলো রুবেল। নিহত রিফাত তার মামাতো ভাই। এদের একটা দল রয়েছে। যারা এ সমস্ত কান্ডকারখানা করে বেড়ায়।
[৭] কাফরুল থানার এসআই মো. আলমগীর বলেন, রুবেলকে ত্রিশাল থানা পুলিশের সহযোগীতায় আটক করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যে ভবনের পেটিক ট্যাঙ্ক থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :