শিরোনাম
◈ হলমার্ক কেলেঙ্কারির রায় ঘোষণার সময় পালিয়ে গেলেন জামাল উদ্দিন সরকার ◈ ২৯ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ বাস্তব বিবর্জিত: দোকান মালিক সমিতি ◈ তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদিকে বাড়ি ছাড়তে হবে: হাইকোর্ট  ◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের  ◈ হলমার্ক মামলায় তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন ◈ ভোরে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২০

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২০, ০৩:৪৩ রাত
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২০, ০৩:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] যশোর উপশহর আদর্শ বহুমুখি মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক ইমু হত্যা মামলার আরো এক আসামি আটক

যশোর প্রতিনিধি: [২] শহরতলীর উপশহর শিশু হাসপাতালের সামনে উপশহর আদর্শ বহুমুখি মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক ইমু (৩২) হত্যা মামলার আরো এক আসামি আটক শাহিন সরদারকে (২০) পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আটক করেছে।

[৩] তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি হাসুয়া (দা)। আটক শাহিন সরদার ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার চরনাসিরপুর গ্রামের হাসেম সরদারের ছেলে। বর্তমানে শহরের পুরাতন কসবা আমবাগানে থাকে। আটক শাহিনকে আদালতে চালান দেয়া হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

[৪] পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ২৫ জুন রাতে পুরাতন কসবা এলাকা থেকে শাহিন সরদারকে আটক করা হয়। আটক শাহিন সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ইমু হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেখানো মতে পুরাতন কসবা বিবি রোড শিশু একাডেমির বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতর থেকে দুটি হাসুয়া (দা) উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার ২৬ জুন শাহিন সরদারকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ইমু হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি শেষে শাহিনকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

[৫] এর আগে ২৩ জুন বুধবার রাতে পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া থেকে ইমু হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শহরিয়াকে আটক করা হয়। শাহরিয়াও ইমু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের বর্ননা দেয়।

[৬] রোববার সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নতুন উপশহর শিশু হাসপাতালে সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। শিশু হাসপাতালের দক্ষিনে ফুটপাথের পাশে জনৈক রয়েলের চায়ের দোকানে সামনে সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের সময় কতিপয় ব্যক্তি একে অপরের সাথে হাতাহাতি করছে।

[৭] এঘটনা দেখে ইমু চড় থাপ্পড় মেরে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে রয়েলের দোকানে চা পান করে। এর জের ধরে রাত ৮ টার দিকে ৩ টি মোটর সাইকেল ও ২টি ইজিবাইক যোগে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এসে ইমুকে ছুরিকাঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ইমু উপশহর বি-ব্লক ১০৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ইকবাল হোসেন ইকুর ছোট ছেলে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইকবাল হোসেন ইকু অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়