সমীরণ রায় : [২] জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন এক বিবৃতিতে আরও বলেন, সরকারের উচ্চ মহল রাষ্ট্রায়াত্ব খাতের বাকি ২৫টি পাটকল আদমজী জুট মিলের মতো বন্ধ করে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করতে চায়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অযৌক্তিক।
[৩] তারা বলেন, দীর্ঘদিনের পুরোনো যন্ত্রের পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক মেশিন স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আমলারা ৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায়। কিন্তু সরকার বরাদ্দ না দেয়ায় পাট শিল্পে লোকশানের ধুয়া তুলে এখন তারা এই শিল্প বন্ধ করে ধ্বংসের চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এটি ‘মাথা ব্যাথার কারনে মাথা কেটে দেয়ার শামিল’।
[৪] তারা আরও বলেন, বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় যখন পাট পণ্যের স্বীকৃতি বাড়ছে, তখন দেশের পাটকল বন্ধ কার স্বার্থে? পাটকলগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক মেশিন সংযোজন করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূুপান্তর করা সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনে প্রয়োজনীয় টাকা আমলাদের প্রস্তাবিত চাহিদার এক পঞ্চমাংশ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা রাখেনি।
[৫] শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব