সিরাজুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তারা ক্যালিফোর্নিয়া, লুজিয়ানা, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, টেক্সাস ও ওয়াশিংটনের করোনা পরিস্থিতির ওপর গবেষণা করে মহামারীর হুমকি বিষয়ক একটি মডেল তৈরি করেছেন।
[৩] মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ফজলে হোসেন, সহকারী অধ্যাপক জেনিয়া খান ও ফ্রাঙ্ক ভ্যান বাসেল এ মডেল তৈরি করেন। সহজে গ্রহণশীল, অচিহ্নিত সংক্রমিত, চিহ্নিত সংক্রমিত, চিহ্নিত আরোগ্য, শারীরিক দূরত্ব, অচিহ্নিত আরোগ্য/মৃত্যু ও চিহ্নিত মৃত্যু নিয়ে তারা গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছেন।
[৪] জেনিয়া খান বলেন, বেশিরভাগ মানুষই গ্রহণশীল। কিছু মানুষ জানে না, তারা সংক্রমিত। তারা বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়ায়, ভাইরাস ছড়ায়। তেমন অসুস্থ না হওয়ায় তারা পরীক্ষা করায় না, হাসপাতালে যায় না কিংবা বাড়ি থাকে না। অন্যদিকে চিহ্নিত লোকগুলোকে আলাদা করে রাখা হয়। হয় তারা সুস্থ হয়, অন্যথায় মারা যায়। তারা ভাইরাস কম ছড়ায়।
[৫] ফজলে হোসেন বলেন, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, রাজনীতিক অবস্থা, চামড়ার রঙ ও মানুষের স্বাধীনতা ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন চীনের মানুষ ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখে রাজনীতিক অবস্থানের কারণে। প্রত্যেকেই আদেশ মেনে চলে।
[৬] উপসংহারে বলা হয়েছে, লকডাউন চলমান থাকলে কোভিড অন্তত দুই বছর থাকবে। লকডাউন তুলে দিলে একজন থেকে আরেকজনে দ্রুত সংক্রমণ বাড়বে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। বারবার লকডাউন এবং তা শিথিল হলে মহামারী ঠেকানো যাবে না। কঠোর লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব, শনাক্তকরণ ও আইসোলেশন কোভিডে মৃত্যু কমাতে পারে। সূত্র: লুবক
আপনার মতামত লিখুন :