দেবদুলাল মুন্না: [২] নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নেই [৩]এ তথ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিডিজবস সার্চিং ফোরামের। মার্চ মাস থেকে এই বেকারত্ব বাড়ছে। সংস্থার ধারণা কোভিড পরিস্থতি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলে এটি দ্বিগুণ হবে বলে সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিন তফাদার গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদককে জানান।
[৪] পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১৯ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ আর ২৭ লাখ বেকার।আর সম্ভাবনাময় কিন্তু সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান না এরকম ব্যক্তি (লেবার আন্ডার ইউটিলাইজেশন), যাদের ছদ্ম-বেকার বর্ণনা করা হয়, এরকম মানুষ রয়েছেন প্রায় ৬৬ লাখ। এরা চাহিদা মাফিক কাজ না পেয়ে টিউশনি, রাইড শেয়ারিং, বিক্রয় কর্মী ইত্যাদি খণ্ডকালীন কাজ করেন। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.২% হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। কোভিডের কারণে ২০২০ সাল নাগাদ সেটি কয়েকগুণে বেড়ে গেছে।
[৫]কোভিডের কারণে তৈরি হওয়া মন্দায় ব্যাংকিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই করছে। আর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে।
[৬] বাংলাদেশের চাকরি সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী একেএম ফাহিম মাশরুর বিবিসি’কে বলেন, মার্চের পর থেকে চাকরির বিজ্ঞাপন অনেক কমে গেছে। আগামী ছয়মাস এরকমই থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :