সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
[৩] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুবলীগ।আর এ সমাবেশের কারণে সমালোচনার মুখে বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম
[৪] বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে আগাম খবর জেনেও সমাবেশে বাধা দেয়নি পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসন।
[৫] স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরের কর্মসূচিতে যুবলীগ নেতা রেজা নিজেও হাজির ছিলেন। এত মানুষের সমাগমের ফলে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় এলাকায়।
[৬] স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠেকানো তো দূরে থাক সমাবেশ সফল করতে বেলকুচি থানা পুলিশের সদস্যরা বিশেষ করে ওসি আনোয়ারুল ইসলাম শুরু থেকেই যুবলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করেছেন।
[৭]এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, আমরা প্রথমে চালা এলাকায় মানববন্ধন করি। কিন্তু সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় লোকসংখ্যা বেড়ে প্রায় ৫-৬ হাজারে পৌঁছে। পরে পার্টি অফিসের সামনে আমরা সমাবেশ করি।
[৮] বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মানববন্ধন ও সমাবেশের বিষয়ে কোনো প্রকার অনুমতি নেয়া হয়নি। বরং বেলকুচি থানার ওসিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
[৯] জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক জানান, করোনা মহামারির মধ্যে সব ধরনের মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সাজ্জাদুল হক রেজা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম করেছে।
[১০] এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ও পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলমের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।
[১১] বেলকুচি থানার নবাগত ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নির্দেশে ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
[১২] জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ মুঠোফোনে এ প্রসঙ্গে বলেন, বেলকুচির ইউএনও বদলি হয়ে গেছেন। কামারখন্দের ইউএনও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে থাকলেও বিষয়টি আগে থেকে অবগত ছিলেন না। বেলকুচিতে দলীয় লোকজনের মধ্যে যতই বিভাজন থাকুক না কেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের এ ধরনের সমাগম করাটা মোটেও উচিত হয়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :