শিরোনাম
◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২০, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২০, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গণপরিবহনে যাত্রী নেই, ভাড়া দ্বিগুনের বেশি

সুজিৎ নন্দী : [২] করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীতে চলাচলকারী গণপরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। বাস মালিকদের নেয়া সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপরে সাধারণ যাত্রীরা আস্থা রাখতে না পারায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর কথা থাকলেও শতভাগ ভাড়া বাড়াচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে আরো বেশি নেয়া হচ্ছে।

[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব বা পল্টন মোড় পর্যন্ত বাসের নির্ধারিত যাত্রী ভাড়া হলো ২০ টাকা। করোনা আগে নিয়ম না মেনে এই ভাড়া নেয়া হতো ২৫ টাকা। কিন্তু এখন যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। অথচ আগের ভাড়ার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ যুক্ত হলে ভাড়া দাঁড়ায় ৩২ টাকা।

[৪] শেওড়াপাড়া থেকে প্রেস ক্লাবে যেতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৪ টাকা। কিন্তু সেটা অমান্য করে নেয়া হতো ২০ টাকা। ১৪ টাকার সঙ্গে ৬০ শতাংশ যুক্ত করা হলে ভাড়া দাঁড়ায় সাড়ে ২২ টাকা। কিন্তু এখন আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। সায়েদাবাদ থেকে মিরপুর ১০ নম্বরের সরকার নির্ধারিত ভাড়া ২৪ টাকা। এর সঙ্গে ৬০ শতাংশ যুক্ত হলে ভাড়া দাঁড়ায় ৩৮ টাকা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

[৫] পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, যাত্রী কম। মানুষ এখন আর বাসে উঠতে চায় না। সিট ফাঁকা থাকে। তাই মালিকরা বাসের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে যাত্রীরা এখন রিকশা, সিএনজিসহ ছোট পরিবহনে বেশি যাতায়াত করছে।

[৬] একাধিক যাত্রী জানান, যেসব শর্তে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে, সেগুলোর ধারে কাছেও নেই পরিবহন মালিকরা। এ কারণে তারা গণপরিবহন এড়িয়ে চলছেন। এদিকে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবহনের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এছাড়া, যাত্রীদের অভিযোগ, করোনাকালের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

[৭] অন্যদিকে গণপরিবহনে যেসব স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে, এর মধ্যে কেবল কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা ছাড়া আর কিছুই মানা হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বাসে ওঠার যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে না। হ্যান্ড সানিটাইজার দেয়া হয় না। বাসের ভেতরে বারবার জীনাণুনাশক ছিটানোর শর্ত থাকলেও সারাদিনে একবারও ছিটানো হচ্ছে না। এছাড়া, ভাড়াও বেশি নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়