দেবদুলাল মুন্না: [২] এ মন্তব্য করেন জি নিউজকে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা ভাষার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য মারা যান। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় প্রকাশনা সংস্থা দে’জ পাবলিশিং।
[৩] শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন দিল্লিতেই। আর এসময়ের মধ্যে কাজ করেছেন পাঁচটি কাগজে। যার অধিকাংশই কলকাতার বাইরের। আর রিপোর্ট লিখতে গিয়েই লেখালেখি শুরু বলে জানান নিমাই ভট্টাচার্য। তার বিখ্যাত উপন্যাস মেমসাহেব ও রিপোর্টার। তিনি জওহরলাল নেহেরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ভি কে কৃঞ্চমেনন, মোরারজী দেশাই, ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের স্নেহভাজন ছিলেন তিনি।
[৪] নিমাই ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৩১ সালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় চলে যান কলকাতায়। পেশাগত জীবন শুরু হয় সাংবাদিকতা দিয়ে। তাঁর প্রথম উপন্যাস ছাপা হয় অমৃত পত্রিকায় ১৯৬৩ সালে। উপন্যাসের সংখ্যা ১৫০টিরও বেশি।
[৫] তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের নাম ‘পার্লামেন্ট স্ট্রিট’, ‘ডিপ্লোম্যাট’, ‘মিনিবাস’, ‘মাতাল’, ‘ইনকিলাব’, ‘ব্যাচেলর’, ‘কেরানি’, ‘ডার্লিং’, ‘নাচনি’, ‘প্রিয়বরেষু’, ‘পিকাডিলী সার্কাস’, ‘কয়েদী’, ‘জংশন’, প্রবেশ নিষেধ, ‘ম্যাডাম’, ‘ককটেল’, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান’ ইত্যাদি ।
আপনার মতামত লিখুন :