জেরিন আহমেদ: [২] গত এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া ‘সিএইচএডিওএক্স১ এনসিওভি-১৯’ নামে পরিচিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসাগত প্রয়োগ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পক্ষ থেকে গত ২২ তারিখ এ তথ্য জানানো হয়েছে।এছাড়া জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই সম্ভাব্য প্রথম পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশিত হবে। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ, নিউজ ১৮
[৩] ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ের ফল আশানুরূপ হলে প্রথমে আমরা ২০-৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করব। পরে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে, তখন বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।
[৪] তিনি আরো জানান, প্রথম পর্যায়ের ফল ভালো হলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ একসঙ্গে চলবে। তার আশা, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হবে। এখন ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ যে কার্যকর হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ।
[৫] ভ্যাকসিনটি বাঁদরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিউমোনিয়া আটকে দিলেও, সংক্রমণ রুখতে পারেনি। যদিও, তাতে আশাহত নন গবেষকরা। এ বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের ওই কর্মকর্তা জানান, বাঁদরগুলোর ওপর অত্যাধিক মাত্রায় ভাইরাসের ডোজ দেয়া হয়। সেখানে ভ্যাকসিনের একটিমাত্র ডোজ ব্যবহার করা হয়।
[৬] উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, করোনা অতিমারীর সময়, এই ভ্যাকসিনটিকে অলাভজনক ভাবে বাজারে ছাড়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :