আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] ১৯৭৫ সালের পর প্রথম সীমান্তে চীনের সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ভারতের সেনার। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সকল প্রতিবেশীকে ভারত ছোট করে দেখতে চেয়েছে, তাদেরই কাছে টেনে নিয়েছে চীন। দ্য ডিপ্লোম্যাট
[৩] তবে খুব সহজেই এই পরিস্থিতি ভিন্ন হতেই পারতো। ২০১৪ সালে নির্বাচিত হয়েই নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীদের নিজ শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সবাই ভেবেছিলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুস্পর্কে আগ্রহী বিজেপি।
[৪] ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে শান্তি আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশ এর প্রতিদানে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই পায়নি। এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশকে নামকাওয়াস্তে সমর্থন দিয়েছে। মিয়ানমারের অব্যাহত হুমকির মুখে বাংলাদেশী কূটনতিকরা দেখেছেন ভারত দেশটির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। তাদের সাবমেরিন উপহার দিচ্ছে।
[৫] বিভিন্ন ইস্যুতে একই ধরণের শীতলতার মুখোমুখি হয়েছে মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও। এর সুযোগ নিয়েছে চীন। তারা এসব দেশে অর্থের বস্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। দান নয়, তারা বিনিয়োগ করেছে।
[৬] বাংলাদেশ বাদে বাকি দেশগুলো সরাসরি চীনের পক্ষে চলে গেছে।
[৭] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে বাংলাদেশকে ধরে রাখার জন্য ভারতের হাতে একটি মাত্র সুযোগ রয়েচে। যদি তারা তা হারায় নিজ অঞ্চলে হয়ে পড়বে সম্পূর্ণ বন্ধুহীন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :