রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রামে বুধবার সকাল থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
[৩] তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। নগরীর বায়জীদ, চন্দ্রনগর, জালালাবাদ পাহাড়ী এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী লোকজনকেও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়েছিল।
[৪] বায়েজিদ আরেফিন নগর এলাকা, চন্দ্রনগর এলাকায় কিষোয়ান ফ্যাক্টরির পেছনে গ্রীন ভিউ আবাসিক সংলগ্ন নাগিনী পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে বৃষ্টিতে বাড়ছে ধস ও প্রাণহানির আশঙ্কা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০ টা থেকে পুলিশ, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ ১০ টি সেবা সংস্থার একটি টিম নিয়ে প্রশাসন এসব অবৈধ বসতি উচ্ছেদ শুরু করে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের আটক করার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে জানা যায়।
[৫] চট্টগ্রামে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার পর প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু হয়।
[৬] বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসনের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন। পরিবেশ রক্ষায় ও পাহাড়কে বাঁচাতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ