মঈন উদ্দীন: [২] ‘লকডাউন’ ঘোষণা করায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ওই ল্যাবে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে না।বুধবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ডিডি) ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৩] তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জুন) ল্যাবের এক সহকারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন সোমবার (২২ জুন) আরেকজনের করোনা শনাক্ত হয়। এজন্য ল্যাবটি মঙ্গলবার রাতেই লকডাউন করা হয়েছে। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বন্ধ থাকবে। তবে রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে স্থাপন করা পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব চালু রয়েছে। সেখানে করোনারোগী শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
[৪] এদিকে সকাল থেকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে তাদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। এর আগে সোমবার রামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত দুই চিকিৎসক ও চার নার্স করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তাই ওই ওয়ার্ডটিও লকডাউন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :