বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমান যা চাহিদা তার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি অর্জন করা হয়েছে। করোনার সময় ৪৫ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেকে প্রায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এভাবে বসিয়ে রেখে আইপিপিকে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ প্রকল্প ও রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বাদ দিয়ে বিদ্যুতের সঠিক চাহিদা নির্ণয় করা।
[৩] জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সঠিক ডাটা ব্যবহার হয়নি সিপিডির মূল্যায়নে। তিনি বলেন, সিপিডি বলেছে, মাথা পিছু বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে ৩৬০ কিলোওয়াট কিন্তু আসলে হচ্ছে ৫১০ কিলোওয়াট।
[৪] তিনি বিদ্যুতের একটি হিসাব দিয়ে বলেন, দেশে উৎপাদিত ২৩ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ক্যাপটিভ বাদ দিলে থাকে ১৯ হাজার মেগাওয়াট, ১০ শতাংশ রিজার্ভ রাখলে থাকে ১৭ হাজার, ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্র রিটায়ার্ডে যাচ্ছে। হাতে থাকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। কোভিড কালেই বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার মেগাওয়াট। সুতরাং চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুতের বেইজ লাইন ১০ হাজার মেগাওয়াট এর নীচে বিদ্যুতের চাহিদা যাবেনা বলে তিনি জানান।
[৫] মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার ধরণ ও ব্যবহার পাল্টে গেছে। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপর হিসাব করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়। দেশে ১০১টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে এখানে বিদ্যুৎ দিতে হবে। এক মিরেরসরাই ইকনমিক জোন চালু হলেই ঢাকার সমান বিদ্যুৎ লাগবে। সুতরাং বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প কিছু নেই।