বাশার নূরু: [২] ইতিহাস বলছে, ১৫৬৮ সাল থেকে ১৭৩৫ সালের মধ্যে মোট ৩২ বছর বন্ধ ছিল পুরীর রথযাত্রা। কারণ, হিসাবে সামনে এসেছে সে সময়ের ভারতের ইসলামিক শাসকদের হামলা।
[৩] ১৫৬৮ সালে বাংলার সুলতান সুলেইমান কিররানির জেনারেল কালা পাহাড় হামলা চালান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। সেই সময় হামলার হাত থেকে দেব-বিগ্রহ রক্ষা করতে ১৫৬৮ থেকে ১৫৭৭ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর বন্ধ রাখতে হয়েছিল পুরীর রথযাত্রা।
[৪] ১৬০১ সালে তৎকালীন বাংলার নবাবের সেনাপতি মির্জা খুররাম পুরীর মন্দিরে হামলা চালায়। দেব-বিগ্রহগুলিকে রক্ষা করতে পুরী থেকে ১৩-১৪ কিলোমিটার দূরে কপিলেশ্বরের পঞ্চমুখী গোসানি মন্দিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার বিগ্রহ। ফলে সে বছরও রথযাত্রা বন্ধ ছিল।
[৫] ১৬০৭ সালে ওড়িশার মুঘল সুবেদার কোয়াসিম খানের হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার বিগ্রহগুলিকে লুকিয়ে খুড়গার গোপালা জিউ মন্দিরে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে সে বছরও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রথযাত্রা।
[৬] ১৬১১ আর ১৬১৭ সালে ওড়িশার মুঘল সুবেদার কল্যান মল হামলা চালান পুরীর মন্দিরে। সে সময় মন্দিরের মূর্তিগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চিলিকা হৃদের মাহিসানসিতে। ফলে ওই দুই বছরও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রথযাত্রা।
[৭] এর পর ১৬২১ এবং ১৬২২ এই দুই বছর সুবেদার আহমেদ বেগের হামলা থেকে বাঁচাতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয় বানাপুরের আন্ধারিয়া গড়ে। ফলে ওই দুই বছরও বন্ধ হয়ে যায় পুরীর রথযাত্রা।
[৮] ওড়িশার মুঘল সুবেদার একরম খানের হামলা থেকে পুরীর মন্দিরের মূর্তিগুলিকে বাঁচাতে সেগুলিকে সরিয়ে ফেলা হয়। ফলে ওই সময় ১৬৯২ সাল থেকে টানা ১৩ বছর বন্ধ ছিল পুরীর রথযাত্রা। সূত্র: ২৪ ঘণ্টা
আপনার মতামত লিখুন :