মিনহাজুল আবেদীন : [২] মঙ্গলবার তেজগাঁও অঞ্চল থেকে জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছে ৩৭ জনকে ভুয়া ফল দেওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হয়েছে। পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ এবং কোভিডের নমুনা সংগ্রহের তিন হাজার কিট জব্দ করা হয়েছে। প্রথম আলো
[৩] গ্রেপ্তার বাকি চারজন হলেন হুমায়ুন কবীর, তাঁর স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী এবং সাইদ চৌধুরী ও আলমান। এর মধ্যে হুমায়ুন ও তানজীনা একসময় জেকেজিতে কর্মরত
ছিলেন। এখন তাঁরা নিজেরাই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই ফল দেন। বাকি দুজন এখনো জেকেজিতে কর্মরত আছেন।
[৪] জানা গেছে, ফোন করলে বাসায় গিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হতো। বিনিময়ে নেওয়া হতো সর্বনি¤œ ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু সেই নমুনার কোনো পরীক্ষা ছাড়া এক দিন পরেই পরীক্ষার ফল দেওয়া হতো।
[৫] সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তাদের বিনা মূল্যে কোভিডের নমুনা সংগ্রহের অনুমিত দিয়েছিলো। তারা এর অপব্যবহার করছে।
[৬] আইইডিসিআরের অনুমতি সাপেক্ষে জেকেজি বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করত।
[৭] তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ বলেন, বিনা মূল্যে কার্যক্রম শুরু করে তারা অর্থের বিনিময়ে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করত।
[৮] তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হুমায়ুন ও তানজীনা বলেছেন, সংগ্রহীত নমুনা তাঁরা ফেলে দিতেন। এরপর নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী আইইডিসিআরের প্যাডে ফল লিখে তা মেইল করে পাঠিয়ে দিতেন।
আপনার মতামত লিখুন :