খোকন আহম্মেদ : [২] হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরবরাহকৃত খাবার নিন্মমানের অভিযোগে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগিরা অবাধে হাসপাতালের বাহিরে যাতায়াত করছেন। তারা বাহিরের দোকানে গিয়ে ওষুধ ও খাবার ক্রয় করছেন। এতে করে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[৩] নাম প্রকাশ না করার শর্তে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা হাসপাতালের বাহিরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছেনা। এছাড়া হাসপাতালের খাবার অত্যন্ত নিন্মমানের। খাবার ও ওষুধ এনে দেওয়ার মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন লোকজন কিংবা তাদের নিজস্ব কোন স্বজন কাছে না থাকায় বাধ্য হয়েই তাদের বাহিরে যেতে হচ্ছে।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ীর পরিবারের চার সদস্য করোনায় আক্রান্ত। গত ২১ জুন ঢাকার আইইডিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই ওইদিন রাতে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী ও পুত্র। পরিবারের অপর সদস্য একমাত্র মেয়ের করোনা পজেটিভ হলেও কোনো উপসর্গ না থাকায় তাকে বাড়িরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
[৫] শেবাচিমের সামনের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, তাদের দোকানে আসা ক্রেতাদের মধ্যে কে করোনায় আক্রান্ত আর কে আক্রান্ত নয়, তা তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তারা সবার কাছে পণ্য বিক্রি করেন।
[৬] এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ বাকির হোসেন বলেন, করোনা ওয়ার্ডের রোগি পাহারা দেওয়ার মতো আমাদের পর্যাপ্ত চতুর্থ শ্রেনীর জনবল নেই। তাই করোনা ওয়ার্ড পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ডাক্তারদের পক্ষেও রোগিদের পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।
[৭] কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো.নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, করোনা ওয়ার্ডের রোগিদের খাবার ও ওষুধ এনে দেয়ার লোক দরকার হলে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশের কোন হাসপাতালের রোগি পুলিশ পাহাড়া দেয়ার নজির নেই। শেবাচিম কর্তৃপক্ষ তাদের লোক দিয়ে করোনা ওয়ার্ড পাহারা দিতে পারে। প্রয়োজনে করোনা ওয়ার্ডের গেট তালাবদ্ধ করে রাখতে পারে। হাসপাতালের রোগি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের নয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :