লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ সংক্রমনের পর থেকে টেলিমেডিসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কোভিড রোগিরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন এখানেই। এছাড়া অন্যান্য রোগিরাও এখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। টেলিমেডিসিনে কাজ করেছেন ডা. মাহামুদুন নবী মাহমুদ। টেলিমেডিসিনে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
[৩] ডা. মাহমুদ বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে মানুষের সেবা দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
[৪] ডা. নবী বলেন, বেশিরভাগ সময় সকাল আর সন্ধ্যায় কল আসতো বেশি। রমযানের সময় ইফতারের পর বেশি কল আসতো।
[৫] ডা. মাহামুদুন নবী বলেন, পুরাতন রোগীরা বেশির ভাগ সময় রাতে ফোন করতেন। আর নতুন রোগিরা দিনে। যেহেতু রোগীদের কাছে নাম্বার থাকতো। তাই তারা রাতদিন যখন প্রয়োজন খারাপ লাগলেই ফোন করতো।
[৬] তিনি বলেন, মুমুর্হ রোগীদের ফোন আসলে আমি চেষ্টা করতাম দ্রুত কাছের হাসপাতালে রেফার করতে। এর সঙ্গে আরেকটি কাজ করতাম, যে হাসপাতালে রেফার করতান তাদের ফোন করে জানিয়ে দিতাম। ক্রিটিক্যাল রোগি যাবে।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিবিধ পরামর্শ দেয়া হতো উল্লেখ করে ডা. নবী বলেন, ৯টি পরামর্শ দেয়া হতো। যেমন আলাদা থাকা, বাহিরের লোকদের থেকে দুরে থাকা। প্রয়োজনে টেস্ট করা ও হাসপাতালে যাওয়া। লেবুপানি, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি।
[৮] ডা. নবী বলেন, কিছুটা বিড়ম্বনা তো থাকবেই। কিন্তু তার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে আমরা সেবা দিতে পারছি। অনেকে তো বাসায় ঢুকে গেছেন। কোনো কিছুই করেননি। তাই এই বিড়ম্বনা কিছুই না।
[৯] যুদ্ধের গল্পতো সবাই শুনেছি। কিন্তু নিজে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। এটা একটি যুদ্ধ। যেখানে অংশগ্রহণ করে দেশের মানুষকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। এটা আমার কাছে যুদ্ধের চাইতে কম কিছুনা। আমি গর্বিত মানুষের সেবায় আসতে পেরে।
আপনার মতামত লিখুন :