মনিরুল ইসলামঃ [২] প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শখ হাসিনা বলেছেন, আজ ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হওয়া সত্বেও করোনাভাইরাস কারণে সীমিত আকারে পালন করছি। জনগনের কল্যানটিই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল কর্মসূচি সীমিত আকারে প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের একটি সমস্যা। এর প্রতি দৃষ্টি রেখে আমরা আগেও মুজিব বর্ষের সকল অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি।
[৩] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতিই হচ্ছে জনগনের কল্যাণ করা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে ধন্যবাদ জানান। সাথে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। কোনদিন এ নিয়ে কোন কথা বলেননি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে কি নির্যাতন সহ্য করেছেন কোনদিন বলেননি। আমরা জানতেও পারিনি।
[৪]কোভিড-১৯ আতংকের মধ্যেই আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসেছে সংসদের মূলতবি বাজেট অধিবেশন। সভাপতিত্ব করছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা টেবিলে উত্থাপিত হয় বলে স্পীকার ঘোষণা দেন।
[৫] অধিবেশনে আজ আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনা শুরু হবে।
[৬]জানা গেছে, মাত্র দুই দিনের আলোচনার পর আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে।
সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে গত ১০ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১১ জুন সংসদে ৫ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। গত ১৬ জুন থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা শুরু’র কথা থাকলেও ১৫ জুন সম্পুরক বাজেট পাসের পর অধিবেশন ২৩ জুন পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। একের পর এক সংসদ সদস্য- মন্ত্রী ও সংসদ কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ায় অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিগতদিনে প্রতিটি বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হলেও এবার কোভিড-১৯ এর সংত্রুমণের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে আর মাত্র ৪/৫ কার্যদিবসেই অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষিত হবে।
[৭]সংসদ সচিবালয়ের বাজেট অধিবেশন ক্যালেন্ডারে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন মূল বাজেট আলোচনার দিন নির্ধারিত ছিলো। তবে মূল বাজেট আলোচনায় না গিয়ে ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবী করা হয়।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২২, ২৩ ও ২৪ জুন দ্বিতীয় পর্বে মূল বাজেট আলোচনার দিন নির্ধারিত রয়েছে। ২৯ জুন মূল বাজেট সমাপনী আলোচনা ও ৩০ জুন বাজেট পাস।
[৮]জানা গেছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে কার্যদিবস কমিয়ে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সংক্ষিপ্ত হচ্ছে বাজেট কার্যদিবস।
এদিকে, সংসদ অধিবেশনে এসে যাতে কেউ সংক্রমণের শিকার না হন,তারজন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংসদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংসদ সচিবালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা পরীক্ষা ও পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে অংশ নিবেন এমন ১৭০ জন সংসদ সদস্যের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। প্রবীন ও শারিরীক ভাবে অসুস্থ সদস্যদের সংসদে না আসতে নিরৎসাহিত করা হচ্ছে। অধিবেশনে প্রতিদিন রোষ্টার অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ জন সংসদ সদস্য যোগ দিচ্ছেন । তারা মাস্ক, গ্লোভস পরে নিরাপদ শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে বসার আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৯]জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সংসদ সদস্যদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে সকলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত হয়েই সংসদ সদস্যরা সংসদে যোগ দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :