আর্ন্তজাতিক রির্পোট : [২] এবার তো রীতিমতো কুকুরের মাংস খাওয়ার বার্ষিক উৎসবও চালু হয়েছে দেশটিতে ! এইতো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেয় কোভিড-১৯ ভাইরাসের। অনেকের ধারণা উহানের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়েছিলো প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এ কারণে পুরো চীনে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বন্যপ্রাণীর বাজার। করোনাভাইরাস আবহে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল চীনাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস নিয়ে।
[৩] সরকারের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ও কোভিড-১৯স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়মকে প্রকাশ্যে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চীনের ইউলিন শহরে শুরু হয়েছে বার্ষিক কুকুরের মাংস উৎসব। তাহলে কি চীন বেপরোয়া ? ২১ জুন থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের এই উৎসবে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। চলে কুকুর কেনাবেচা ও কুকুরের মাংস খাওয়া। তবে আয়োজকদের ধারণা এবছর লোক সমাগমকম হবে।
[৪] এদিকে চীনা প্রশাসন যেভাবে কুকুর রক্ষা করতে উদ্যোগী হচ্ছে তাতে পশুপ্রেমীরা বলছেন আশা করা যায় এটাই শেষ উৎসব। একজন পশুপ্রেমী পিটার লি জানিয়েছেন তিনি আশা রখেন শুধুমাত্র প্রাণীদের কথা ভেবে না হলেও নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ইউলিন বদলাবে। তিনি এও বলেছেন, 'উৎসবের নামে কুকুর খাওয়ার জমায়েতে আশঙ্কাজনক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়। করোনাভাইরাস বন্যপ্রাণীদের মাধ্যমে চীনের উহান বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে ধরা হয়। এপ্রিল মাসে সেনজেন চীনের প্রথম শহর হিসেবে কুকুর খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
[৫] চীনের কৃষি মন্ত্রণালয় কুকুরকে পোষ্য হিসেবেই দেখতে চাইছে। কিন্তু কীভাবে ইউলিনের বাজারে পরিবর্তন আনা যায় তা পরিষ্কার নয়। চীনের আরেক পশুপ্রেমী ঝাং কিয়ানকিয়ান জানিয়েছেন তাদের নেতারা কুকুরের মাংস খাওয়ার বিপক্ষে কথা বললেও কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। সূত্র- সাউথ চায়না মনিটরিং পোস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :