শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২২ জুন, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পেঁয়াজের কেজি ১৬ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানিও বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও, বর্তমানে তা ১৬-১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিন্মমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দীর্ঘ ৭৫ দিন বন্ধের পর গত ৮ জুন থেকে বন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি-রফতানি শুরু হয়। প্রথমদিকে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে ৪০-৪২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। গত ৯ দিনে ৩৪৮টি ট্রাকে সাড়ে ৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এদিকে হিলির বাজারে খুচরাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১২ টাকা থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা একসপ্তাহ আগে ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিলো। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমে আসায় খুশি সাধারণ মানুষ।

হিলি বন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় পেঁয়াজের চালানহিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিল, বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের। তবে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে অনুমতি মেলায় মে মাসে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এদিকে ৭৫ দিন বন্ধের পর গত ৮ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। শুরুতে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও ঈদকে ঘিরে বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এতে করে বন্দর দিয়ে বর্তমানে ৪০ থেকে ৪২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

তারা আরও জানান, আমদানি বাড়লেও দেশের বিভিন্ন এলাকা লাল, হলুদ, সবুজ জোনে বিভক্ত করে লকডাউন করার কারণে মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের চাহিদা কম রয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দর দিয়ে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে দাম কমছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি-রফতানি হওয়ার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। ট্রাকগুলো দুই থেকে তিন দিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে, পোর্টে ঢুকতে সময় লাগছে ৪-৫ দিন। এই বাড়তি সময়ে অতিরিক্ত গরম ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে ট্রাকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সুত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়