লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ প্রভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে সারা বিশ্বে। তার বাইরে নয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও। সারাদেশে বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোভিড প্রভাব যতক্ষণ না কমছে ততক্ষণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে না অভিভাবক-শিক্ষক-সরকার। তবে কি হবে ভবিষ্যত এই শিক্ষার্থীদের।
[৩] প্রভাতী উচ্চ বিদ্যানিকেত স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাহিদা চৌধুরি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নির্দেশনা তাদের কাছে নেই। তবে নিজেরা উদ্যোগি হয়ে নিচের ক্লাসের বাচ্চাদের কিছু পরা মোবাইলে দেয়া হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে। আবার নেয়া হচ্ছে অনলাইনে। তবে সেটা যথেষ্ট নয়।
[৪] তাহলে ভবিষ্যতে স্কুল খুললে কি করা যেতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন, আল্লাহ যদি রহমত করে, ডিসেম্বরে খুলে দেয়া যায় স্কুল কলেজ তবে শর্ট সিলেবাস দিয়ে ২০-২৫ নাম্বারে একটি পরিক্ষা নেয়া যেতে পারে। অথবা প্রথম টার্মের রেজাল্ট বা আগের রেজাল্ট দেখে বাচ্চাদের অটো প্রমোশন দেয়া যেতে পারে। এমন ঘটনাতো বাংলাদেশে আরো ঘটেছে। কিন্তু সবার আগে বাচ্চাদের জীবন। তারপর শিক্ষা।
[৫] তত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এখন আমাদের ঘরে থাকার সময়। চারিদিকে চলছে মহামারি। এই সময় স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছু বন্ধ থাকাই ভালো বাচ্চাদের জীবন হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। আগে বেঁচে থাকতে হবে। তারপর শিক্ষাজীবন নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বেঁচে না থাকলে শিক্ষা দিয়ে কি হবে।
[৬] রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, তবে যেসব বাচ্চারা সেশন মিস করছেন তাদের জন্য অবশ্যই কিছু ভাবতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। কি যে ভাবছে তা তো এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ বিবিধ পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। সেসব দেখেও কিছু বিষয় শিক্ষতে পারে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
[৭] শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। এ বিষয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। কিন্তু ফল বেরিয়ে আসেনি। তবে স্কুল খোলার আগে অবশ্যই কিছু একটা সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানায় এই সূত্র।