শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২২ জুন, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বড় অনেক হাসপাতাল কাজে আসছে না

মিনহাজুল আবেদীন : [২] ১১ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অধ্যাপক ডা. গাজী জহির হাসান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কোভিড-১ আক্রান্ত ওই চিকিৎসক নিজ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পাননি। সমকাল

[৩] বিএসএমএমইউর সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদারও কোভিডের সেবা পাননি এখানে। এ প্রতিষ্ঠানটির দুই শতাধিক চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে কেউই নিজ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে পারেননি।

[৪] বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক। সারাদেশের মানুষ যখন উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, তখন দেশের শীর্ষ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটির এমন হাত গুটিয়ে বসে থাকা কাম্য নয়। নিজেদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই তারা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সেবার ব্যবস্থা করতে পারত।

[৫] এদিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ইএনটি ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সসহ বড় বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো কোভিড চিকিৎসায় কাজে আসছে না। মহামারির এই দুর্যোগেও প্রতিষ্ঠানগুলো হাত গুটিয়ে বসে আছে।

[৬] বিএসএমএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া বলেন, কোভিডে চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কেবিন ব্লকের, আইসিইউ, এইডিইউ মিলে ২৫০ শয্যা এবং জাতীয় বেতার ভবনে ১৫০ শয্যা মিলে মোট ৩৫০ শয্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে।

[৭] ঢাকা শিশু হাসপাতাল : শিশু রোগীদের চিকিৎসায় দেশের প্রধান বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিশু হাসপাতালেও আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রাণঘাতী কোভিডে বড়দের মতো শিশুরাও আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছে।

[৮] করোনা সংক্রমণের পর অন্যদের মতো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স, জাতীয় নাক কান গলা (ইএনটি) ইনস্টিটিউটসহ দেশের বড় বড় বেশকিছু হাসপাতাল এখনও হাত গুটিয়ে বসে আছে। করোনা নিগেটিভ সনদ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো রোগী ভর্তি করছে না। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জরুরি অস্ত্রোপচারও বন্ধ রাখা হয়েছে।

[৯] নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি আইসোলেশন শয্যা চালু করা হয়েছে। সন্দেহভাজন রোগীদের সেখানে রাখা হয়।

[১০] চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, মহামারির এই সময়ে সামর্থ্য থাকার পরও অনেক প্রতিষ্ঠান হাত গুটিয়ে বসে আছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিপ্তরের দায় আছে।

[১১] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের কীভাবে সেবা দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তা মানছেন না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়