মিনহাজুল আবেদীন : [২] এক সপ্তাহেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করে আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন বগুড়ার কোভিডের সম্মুখযোদ্ধা ও আলোচিত চিকিৎসক শফিক আমিন। প্রথম আলো
[৩] রোববার তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ১৪ জুন থেকে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে তিনি হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি নিজে এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন।
[৪] জানা গেছে, সোমবার থেকে তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবায় যোগ দেবেন।
[৫] গত মার্চের শেষ দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িদহ গ্রামের সাজেদা বেগম নামের এক নারী জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টসহ কোভিডের উপসর্গে তাঁর স্বামীকে বাঁচানোর জন্য রাতভর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভোরের দিকে শফিক আমিনকে ফোন দেন। সেখানে একজন চিকিৎসক পাঠিয়ে আলোচনায় আসেন শফিক আমিন।
[৬] এরপর ঢাকা থেকে ট্রাকে রংপুরে ফেরার পথে মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া শ্রমজীবী শাহ আলমকে (৫০) মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে সুস্থ করে তুলে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় আসেন শফিক আমিন।
[৭] এরপর চট্টগ্রাম থেকে ট্রাকে করে রংপুরের মিঠাপুকুরে ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে পড়ে থাকা শ্রমজীবী সিরাজুল ইমলামকে উদ্ধার ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন তিনি।
[৮] এ ছাড়া আইসোলেশনে রোগীর চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মানসিক সাহস জোগানো, খাবার ও পথ্যের ব্যবস্থা, রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনের খাবারের ব্যবস্থা করা, কোভিডে ও উপসর্গে মারা যাওয়া রোগীর জানাজা, কবর খোঁড়া, দাফনের ব্যবস্থা, কবরের জায়গার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় পিপিইর ব্যবস্থা করা, থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করা, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পাশাপাশি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবাসহ নানা কাজ করে মানবিক চিকিৎসক হিসেবে প্রশংসা কুড়ান তিনি। নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে এখন তাঁর পরিচয় ‘কোভিড সেনাপতি’।
[৯] শফিক আমিন বলেন, ‘নিজের জীবন নিয়ে ভয় করি না। এখন যুদ্ধ একটাই, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে জিততেই হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :