সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে বিদ্যুতের ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে অবস্থান নেন যুবক। পরে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দেওয়াসহ নানা ধরনের শর্তে ওই প্রেমিককে অক্ষত নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। শনিবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডস্থ সুমিলপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
[৩] এ সময় প্রেমিক বিপ্লবের এমন কাণ্ড দেখে আশেপাশের কয়েক হাজার লোক সেখানে জড়ো হয়।
[৪] সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৭০ ফুট উঁচু এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের কেবল পরিবাহী ওই টাওয়ারের অনেক উঁচুতে উঠে অবস্থান নেন নারায়ণগঞ্জ সিটির ৬নং ওয়ার্ডস্থ আদমজী বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা বিপ্লব নামে এক যুবক।
[৫] পাশেই দড়ি বেঁধে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের অনেক অনুরোধেও নিচে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না বিপ্লব।
[৬] অনেক চেষ্টার পর শর্ত মানায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিহারী ক্যাম্পের গুলু মেম্বারের কথায় কিছুটা নিচে নেমে এলে আশেপাশের লোকজনের চিৎকার শুরু করে। তাকে নিচে নামিয়ে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের এগিয়ে যেতে দেখে বিপ্লব ফের ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর তার ভাইয়ের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের হ্যান্ড মাইকে কথা বলতে পুনরায় কিছুটা নিচে নেমে এলে অপর প্রান্ত দিয়ে স্থানীয় দুজন ওপরে উঠে তাকে ধরে ফেলে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার ওপরে উঠে তাকে অক্ষত নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
[৭] বিপ্লবের বাবা বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য ঘরে হুমকি-ধমকি দেয়। বেশ কয়েকদিন ধরে একই ক্যাম্পের এক তরুণীকে বিয়ে করতে আমাদের অনুমতি চায় সে। কিন্তু আমরা এতে সম্মতি না দেওয়াতে সে এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে।’
[৮] ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ বলেন, খবর পেয়ে আমরাসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রায় বিদ্যুতের টাওয়ারের ১২০/১৩০ ফুট ওপরে উঠে ওই যুবক অবস্থান নিয়েছে। পরে অনেক অনুরোধে তাকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :