ওমর ফারুক : [২] বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ (বিএমটিপি) এর সাধারণ সম্পাদক মো: আশিকুর রহমান বলেন, করোনা মহামারিতে যে পরিস্থিতি ছিলো তাতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজটি ঠিক মতো হচ্ছিলো না, অপ্রতুল মেডিকেল টেকনোলজিস্টের কারণে। সেসময় যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জীবন বাজী রেখে রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজ করছে তারাই প্রকৃত করোনাযোদ্ধা। তারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এগিয়ে না আসলে আজ স্বাস্থ্যখাতের ও দেশের অনেক ক্ষতি হতো।
[৩] তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের নেতা কর্মীসহ সারা দেশের স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ। প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেশের এ সংকটময় সময়ে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
[৪] রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেখানে ১৫৭ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
[৫] প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বাস্থ্যখাতে ডাক্তার-নার্সদের ন্যায় ১২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
[৬] ১২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বানচালের জন্য কিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নামধারী জামাত-ছাত্রদল, ছাত্র-শিবির চক্র প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে চলেছে। বিএনপি পন্থী সংগঠন এম. ট্যাব. এই আন্দোলনে সরাসরি মদদ দিচ্ছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ বন্ধ করা নিয়ে চলছে বিপিএসএমটিএ'র ষড়যন্ত্র।
[৭] ২০১৩ সালের প্রকাশিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ মামলা দিয়ে স্থগিত করে রেখেছে জামাত-শিবির পন্থী সংগঠন বেকার এন্ড প্রাইভেট সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিএসএমটিএ)। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ