বাশার নূরু:[২] প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের সেনা মুখোমুখি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না-করার নীতি এত দিন মেনে চলেছে ভারত। এবার ভারত বদলে ফেলল ‘রুলস অব এনগেজমেন্ট’।

[৩] নতুন নিয়মে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধ থাকবে না সেনাবাহিনীর। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রলাণয় রবিবার এই নীতি অনুমোদন দিয়েছে।

[৪] গালওয়ানে সংঘাতের পরে কেটে গিয়েছে ছ’দিন। এখনও গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশ দখল করে বসে রয়েছে চিন সেনারা। নিজেদের অবস্থান থেকে সরার কোনও লক্ষণও দেখায়নি তারা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতের কথা মাথায় রেখে গালওয়ানে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত। পাশাপাশি লাদাখ অঞ্চলে কমব্যাট পেট্রল চালু করেছে বায়ুসেনা।

[৫] গালওয়ানের ঘটনার পরে ডিবিও সড়ক নির্মাণের কাজে পাহারা দেওয়ার জন্য আরও বেশি সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। নর্দার্ন কম্যান্ডের এক পদস্থ সেনা অফিসারের মতে, ওই রাস্তা তৈরি হলে কারাকোরাম পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনা। ওই এলাকা চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের খুব কাছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি রয়েছে চিনের। ওই সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য ফের হামলা চালাতে পারে চীনের সেনা। ২০১৩-য় ওই সড়ক সন্নিহিত দেসপাং এলাকায় চিনা সেনা ঢুকে তিন সপ্তাহ বসে ছিল। সূত্র: আনন্দবাজার