তপু সরকার, শেরপুর : [২] মানুষের পর এবার গৃহপালিত গবাদি পশুর শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খবর পাওয়া যায়। বেকায়দায় পড়েছে গরু পালনকারী কৃষকরা। গরু ভাইরাসের কারণে নানা রোগে আক্রন্ত হলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি পশু চিকিৎসকদের। মারাও যাচ্ছে অনেক গরু এ
অভিযোগ কৃষকদের।
[৩] শেরপুর জেলার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এসব কৃষকদের প্রায় সবারই হাল চাষ করার জন্য রয়েছে গাভী ও ষাড় গরু। আবার অনেকেই গাভী ও ষাড় গরু পালন করে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি এসব গরুর শরীরে এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাসের কারণে ফুড এন্ড মাউথ ডিজিজ ও লামটিং স্ক্রীন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে গরুর ক্ষুরা রোগ, শরীরে পচন ধরা, চাকা চাকা হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছু কিছু গরু মারাও যাচ্ছে। কিন্তু এসময়ে কৃষকরা পাশে পাচ্ছেনা সরকারি পশু ডাক্তারদের। ফলে কৃষকরা পড়েছে বেকায়দায়।
স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসকগণই হচ্ছে তাদের একমাত্র ভরসা। বিশেষজ্ঞ পশু চিকিৎসক না থাকায় অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
[৪] এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই জানান, এক শ্রেণীর ভাইরাস রোগে আক্রান্ত এসব গরুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এখন রোগ নিয়ন্ত্রণে আসছে। প্রতিটি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরো
[৫] জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার গরু মহিষকে প্রতিষেধক টিকা ও ১৫ হাজার ৫৭০টি গরুমহিষকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
[৬] স্থানীয়দের দাবি দ্রুত অসুস্থ পশুগুলোকে সরকারি বিশেষজ্ঞ পশু ডাক্তারদের দিয়ে সেবা দেয়ার জন্য অসহায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করার অনুরোধ করা হচ্ছে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :