কামাল হোসেন : [২] বর্ষায় পানি বাড়ায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাত্তার ফকির পাড়া, ছিদ্দিক কাজীর পাড়া, মজিদ শেখের পাড়া ও ব্যাপারী পাড়া, সাহাজদ্দিন ব্যাপারী পাড়া, লালু মন্ডল পাড়া, নতুন পাড়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সী পাড়া, কাওয়াজানি ও মধ্য কাওয়াজানি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
[৩] দৌলতদিয়া ফেরিঘাট রক্ষা করতে বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গতবারের ভাঙনে গ্রামের বেশির ভাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
[৪] দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. পান্নু মোল্লা বলেন, অনেকের মতো আমিও ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। অনেক পরিবারের সরে যাওয়ার জায়গা বা আর্থিক সঙ্গতি নেই।
[৫] দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনে তার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। এবারও ২,৪, ও ৫ নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা হুমকির মুখে রয়েছে। বহুবার নদী ভাঙন রোধে স্থানীয় এমপি, প্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করলেও লাভ হয়নি।
[৬] গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, গত বছরের ভাঙনে ১ হাজার ২০০ পরিবার সর্বশান্ত হন। ঝুঁঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটসহ অন্তত ১ হাজার পরিবার। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :