সোহেল রহমান : [২] ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (আইবিএফবি) বলেছে, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বারবার করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করলেও বাজেটে আয়-ব্যয় বন্টনে এর প্রতিফলন হয়নি। বাজেট বরাদ্দের যে পরিসংখ্যান নির্ধারন করা হয়েছে তা অনিশ্চিত পরিস্থিতি মোকাবেলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতীয়মান হয়নি। রাজস্ব আহরণে সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয়ের যে চ্যালেঞ্জ, সেটা রয়েই গেছে। তবে চ্যালেঞ্জগুলো ওভারকাম করা গেলে অর্থনীতির হাল বা উন্নয়নের গতিধারায় সাধিত ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে ।
[৩] সম্প্রতি সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
[৪] সংগঠনটির মতে, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি খাতে অগ্রাধিকার বাজেটের ইতিবাচক দিক। আর স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ালেই চলবে না, এ খাতের ব্যয়ের সক্ষমতা ও সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেই জায়গাগুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।
[৫] আইবিএফবি বলেছে, বাজেটে দুর্নীতর বিরূদ্ধে কঠোর অবস্থান ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয় । মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরও নিরৎসাহিত করা হবে। কালো টাকা সাদা করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া প্রয়োজন। তারপর কালো টাকা উদ্ধারে কঠোর কর্মসুচিতে যাওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
[৬] কর্মসংস্থানের জন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং অন-লাইনভিত্তিক কাজের সুযোগ কীভাবে ও প্রশিক্ষণের কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- এসব বিষয়ে বাজেটে দিক-নির্দেশনা থাকলে ভালো হতো।
আপনার মতামত লিখুন :