সাইফুল ইসলাম শিল্পী : করোনা থেকে সুস্থ হয়েছি প্রায় একমাস হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় বিশাল ঔষুধের তালিকা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে প্রেসকিপশন দিয়েছে। সে অনুয়ায়ী ঔষুধ চলছে। কিন্তু দুটি ঔষুধ শেষ হয়ে গেলে তা আশেপাশের কোন ফার্মেসিতে পাচ্ছি না। হয়তো চমেক কিংবা হাজারী গলিতে গেলে এসব ঔষধ পাবো। কিন্তু এ পরিস্থিতি যেতে মন সায় দিচ্ছে না।
চাইলে পুলিশের সেবা “আমার ফার্মেসী”তে ফোন করলে বাসায় পৌছে দিতো ঔষুধ। কিন্তু সামান্য এক দেড়শ টাকার দুটি ঔষুধের জন্য তাদের বলতে লজ্জা এবং সংকোচ লেগেছে।
এইটা ফেসবুকে লেখার বিষয় ছিল না। কিন্ত আজ রাতে টেলিভিশনে একটি খবর দেখে অবাক হলাম!
খবরটি হল- রাজধানীতে একটি ওয়ার্ডে লকডাউন চলছে। আর লকডাউনে ওই এলাকার বাসিন্দারা গভীর রাতে স্বেচ্ছাসেবকদের ফোন করে কিছু নিত্য (!) প্রয়োজনীয় জিনিসের অর্ডার করে, যেন তাদের বাসায় পৌছে দেয়া হয়।
মধ্যরাত থেকে গভীর রাতে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা আছে কোমল পানি কোক, ফেয়ার এন্ড লাভলি, বার্গার, চিপস, পানের জর্দা।
গভীর রাতে এসব তাদের জরুরী দরকার ছিল..? মানুষ এতোটা কান্ডজ্ঞানহীন কেমনে হয়..?
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :