রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আইন বিষয়ক সহকারি সচিব ম্যারি এলিজাবেথ টেইলর পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে এত কম বয়সে (৩০) ওই পদে কর্মরত ছিলেন। ডেইলি মেইল/ওয়াশিংটন পোস্ট
[৩] বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টেইলর। তিনি এর আগে কেনটাকির সিনিয়র সিনেটর মিচ ম্যাককনেলের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান। কাজ করেছেন রক্ষণশীল বিচারক নেইল গোরসাচের সঙ্গেও।
[৪] গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশী নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চললেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকায় টেইলর অসন্তষ্ট জানান। টেইলর বলেন পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প তিনি পাননি।
[৫] পদত্যাগ পত্রে টেইলর লিখেছেন, ‘উত্থানের মুহূর্তগুলো আপনাকে বদলে দিতে পারে, আপনার জীবনের গতিপথকে বদলে দিতে পারে এবং আপনার চরিত্রকে পাল্টে দিতে পারে। জাতিগত অন্যায় ও কৃষ্ণ আমেরিকানদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য ও তার ক্রিয়াকলাপগুলো আমার মূল্যবোধ ও দৃঢ়বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে অবস্থান নিয়েছে। আমি আমার বিবেকের পথকেই অনুসরণ করছি।’
[৬] ২০১৮ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যোগ দেন টেইলর। এর আগে তিনি হোয়াইট হাউসে ‘ডেপুটি ডিরেক্টর ফর নমিনেশন’ হিসেবে কাজ করছিলেন।
[৭] হোয়াইট হাউসে কাজ করার সময় টেইলর অন্তত ৪’শ ব্যক্তিকে সিনেটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করিয়ে দেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সিআইএ’র পরিচালক গিনা হ্যাস্পেল, ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার জেরোমি পাওয়েল, মাইক পম্পেও প্রমুখ।
[৮] টেইলরের মা ক্রিস্টিন ক্লার্ক টেইল প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের গণসংযোগ কর্মকর্তা পদে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে কাজ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :