হাসান শান্তনু : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাসিত কিট করোনাভাইরাস শনাক্তে কার্যকর কী না, তা পরীক্ষা করতে বিএসএমএমইউ যে দায়িত্ব পেয়েছে, সেটা 'বিজ্ঞানের নেতৃত্বের' বিষয়। কিটটা কারা উদ্ভাবন করলেন, তাঁরা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক- এসব বিবেচনায় এনে দলবাজি করা যেতে পারে; 'বিজ্ঞানের নেতৃত্ব' দেয়া হয় না।
গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে পুরোপুরি কার্যকর নয় জানিয়ে এটার বিষয়ে সরকারি আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় বিএসএমএমইউ। করোনা শনাক্তে পুরোপুরি কার্যকর না হলেও কিটের উন্নয়ন ঘটাতে, কার্যকারিতা বাড়াতে বিজ্ঞানী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, কোভিড–১৯ নিয়ন্ত্রণে কিটটি ব্যবহারের উদ্যোগ কীভাবে নেয়া যায়- এসব বিষয়ে বিএসএমএমইউ সরকারকে কোনো পরামর্শ দেয়নি। ফলে কিটটি 'পূর্ণ বিজ্ঞানের নেতৃত্ব' পেয়েছে, এটা বলার সুযোগ কম।
বিএসএমএমইউতে এক মাসের বেশি সময় আগে কিট তৈরি করে কার্যকারিতা দেখার জন্য জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। বিজ্ঞানের যে কোনো উদ্ভাবন দিনে দিনে আরো উন্নত করে থাকেন উদ্ভাবকরা। এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে কিটটিকে আরো কার্যকর করতে গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানী, গবেষকরা কাজ করেছেন কী না, এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ খবর নেয়নি।
গণস্বাস্থ্য বলছে, এ সময়ের মধ্যে কিটের উন্নয়নে তারা কাজ করেছে। এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। বিএসএমএমইউর মূল্যায়ন প্রতিবেদন সত্য হলেও বলা যায়, কিটটির উন্নয়ন ঘটাতে, কার্যকারিতা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের যেসব উদ্যোগ নেয়া দরকার, সেগুলো নেয়া উচিত। এ কিট দেশি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন, যা নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারেন। দেশের সীমানা ডিঙিয়ে বাইরে গেলে, এর পরিচিতি হয়ে উঠবে- 'বাংলাদেশের উদ্ভাবিত কিট'।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :