ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: [২] ঈশ্বরদীতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গেল কয়েকদিন আগের সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে ওই তিনজনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫ জনে।
[৩] করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন, উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের ২ ও সাঁড়া ইউনিয়নের ১ জন ব্যক্তি।
[৪] উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে থেকে প্রায় ৭০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর তথ্য রয়েছে, যারা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন স্থান থেকে পরীক্ষা করিয়েছেন।
[৫] সূত্র আরও জানায়, ঈশ্বরদীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ০৮ মে। তিনি নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ। এর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে একজন-দুইজন করে করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু ০৬ এপ্রিল থেকে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। ০৫ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ৩ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। পরদিন সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে একদিনে সর্বোচ্চ আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
[৬] এ প্রসঙ্গে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ এ আসমা খান বলেন, ঈশ্বরদীকে নিরাপদ রাখতে প্রথম থেকেই উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
[৭] তিনি বলেন, 'কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরদীতে ঢুকেছেন এবং তথ্য গোপন রেখেছেন।'
একই রকম শঙ্কা প্রকাশ করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির বলেন, সাধারণ ছুটিসহ উপজেলায় লকডাউন উঠে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অবাধ চলাফেরা ও সংক্রমিত লোকের সংস্পর্শে ক্রমাগত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া শহরের দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা-বিক্রেতারা মানছে না স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব । গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মানার করোনা চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :