ডেস্ক রিপোর্ট : [২] রাঙ্গামাটি শহরসহ এর আনাচে-কানাচে ১০ হাজারের অধিক পরিবারের মানুষ বসবাস করছে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে।
[৩] এ সব এলাকায় প্রবল বর্ষণে যে কোনো মুহূর্তে ২০১৭ সালের ১৩ জুনের ভয়াল পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
[৪] শহরের শিমুলতলী, ভেদভেদি মুসলিমপাড়া, টেলিভিশন সেন্টার এলাকা, রেডিও স্টেশন, যুব উন্নয়ন এলাকা, রাঙ্গাপানি, তবলছড়ি ও মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকাসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
[৫] শহরে অনবরত মাইকিং করে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সদরের বাইরে জেলার কাপ্তাই, কাউখালী, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে বহু পরিবারের মানুষ। জেলা প্রশাসন এ সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
[৬] জানা গেছে, প্রত্যেক বছর বর্ষণে যে সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পাহাড় ধসের দুর্যোগ ঘটে, তবু ওই সব এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকজন বসবাস করে আসছে। আবার অনেক জায়গায় ধসে যাওয়া পাহাড়ি ভূমি বিক্রিও হচ্ছে। এ সব জায়গা কিনে মেরামত করে তৈরি করা হচ্ছে স্থাপনা। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠছে জনবসতি।
[৭] জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, বর্ষা শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ পাহাড় ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাই লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হলে জানমাল রক্ষা সম্ভব হবে।
[৮] তিনি বলেন, গত বছরও পাহাড়ধস নিয়ে আগাম প্রস্তুতি ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল। এবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ধস নিয়ে পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৯] জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সদরসহ আনাচে-কানাচে ১০ হাজারের অধিক পরিবারের মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে নিরাপদে সরে যেতে বলা হচ্ছে।
[১০] ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক পাহাড় ধসের দুর্যোগে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৮ সালের জুনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ধসে ২ শিশুসহ ১১ জন এবং ২০১৯ সালের জুনে জেলার কাপ্তাইয়ে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে।যুগান্তর, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :