মো. আখতারুজ্জামান : [২] কোভিড-১৯ এর প্রাদুভার্ব মোকাবেলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সব ঋণ দ্রুত বিতরণের জন্য বৃহস্পতিবার বিশেষ সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৩] বলা হয়েছে, প্যাকেজসমূহের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল, কৃষি ভর্তুকী, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্থগিত সুদের উপর ভর্তুকীসহ ইত্যাদি খাতে সরকারের রাজস্ব খাত হতে অর্থায়ন করা হচ্ছে।
[৪] প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে হলো- কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণ গ্রহীতার আবেদন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাইপূর্বক দ্রুত ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে বিধি-বিধানের আলোকে ঋণ প্রদান সম্ভবপর না হলে সে ক্ষেত্রে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[৫] ঋণ আবেদনকারীদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রতিটি শাখায় আবশ্যিকভাবে একটি স্বতন্ত্র হেল্প ডেস্ক গঠন করতে হবে। সেই সঙ্গে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্যাাদি প্রদর্শন করতে হবে।
[৬] প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
[৭] দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও অনস্বীকার্য। ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং জিডিপির কাংখিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভবপর হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :