সুজিৎ নন্দী : [২] ইজারা চূড়ান্ত হলে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে হাট পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে পরে ইজারাপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দ্রুতই বরাদ্দ দেয়া হবে। ঈদুল আযহায় ঢাকার দুই সিটির ২৪ জায়গায় বসবে কোরবানি পশু বেচাকেনার অস্থায়ী হাট। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসবে ১৪টি ও ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) এলাকায় বসবে ১০টি হাট।
[৩] হাট ইজারা দিতে উভয় সিটি করপোরেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এ সব অস্থায়ী হাটে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি কীরকম হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে গত বছর হাট নেবার ক্ষেত্রে যে প্রতিযোগিতা ছিলো এবার তাদের আগ্রহ খুবই কম।
[৪] ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন ১৪টি হাটের অস্থায়ী ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আগামী ২৮ জুন প্রথম পর্যায়ে দরপত্র কেনার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। দরপত্র জমা দিতে হবে ২৯ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে দরপত্র কেনার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ জুলাই। আর জমা দেওয়ার শেষ সময় ৯ জুলাই। তৃতীয় পর্যায়ে দরপত্র কেনার শেষ সময় ১৯ জুলাই এবং জমা দেওয়ার শেষ সময় ২০ জুলাই।
[৫] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এখনও পশুর হাট ইজারার দরপত্র চূড়ান্ত করতে পারেনি। প্রস্তুতি চলছে। ২০ জুন নাগাদ উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। করোনার কারনে অবশ্যই যারা হাটের ইজারা নেয় তাদের আগ্রহ কম। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে স্বাস্থ্যবিধি কী রকম হবে।
[৬] ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ডিএসসিসি এলাকার অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটের দরপত্র প্রকাশ করে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে সব নির্দেশনা দেবে সেগুলো মেনে চলা হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :