মো. আখতারুজ্জামান: [২] খেলাপি ঋণ থেকে বেড়িয়ে আসার লক্ষ্যে ভালো ঋণ গ্রহীতাদের বিশেষ সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিগত ২০১৯ সালের ১৬ মে এক সার্কুলার জানি করে।
[৩] সেই সার্কুলারে বলা হয়েছিলো চলমান বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস শেষে বিগত ১২ মাসে ভালো ঋণ গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত সুদ কমপক্ষে ১০ শতাংশ রিবেট বা হ্রাস করতে বলা হয়েছে।
[৪] এটার জন্য কিছু শর্ত জুরি দেয়ে নতুন করে ১৮ জুন সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলারের মাধ্যমে গত ১ এপ্রিল হতে ঋণের উপর সুদ সর্বোচ্চ হার নির্ধারিত হওয়ায় এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী কোন গ্রাহক ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হলে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত রিবেট প্রাপ্য হবেন। তবে, ব্যাংক কর্তৃক ভালো ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ভালো ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিতকরণসহ তাদেরকে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে।
[৫] শর্তগুলো মধ্যে রয়েছে- প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস অন্তে নিম্নোক্ত শর্তাবলী অনুসরণ করে ভালো ঋণ গ্রহীতাকে চিহ্নিত করতে হবে; চলমান ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাব সংশ্লিষ্ট বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৪ ত্রৈমাসিকে অশ্রেণিকৃত স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে এবং নবায়ন পত্রের শর্তানুসারে উক্ত ঋণ হিসাবে লেনদেন সন্তোষজনক হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
[৬] কোন ঋণ গ্রহীতার একাধিক ঋণ থাকলে প্রতিটি ঋণের জন্য উল্লিখিত শর্তসমূহ পরিপালন করলেই কেবল সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। তিন বছর বা তদূর্ধ্ব সময়কাল ধরে ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত গ্রাহকদের ছবি, প্রোফাইল ইত্যাদির সমন্বয়ে ব্যাংক বিশেষ ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে পারবে। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে তাদের ভালো ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দিতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :