সমীরণ রায়: [২] গত ১৬ জুন দেশের সব থানা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প-৩য় পর্যায়’ এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী। চিঠিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো উপবৃত্তির অনুত্তোলিত টাকা জরুরি ভিত্তিতে উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
[৩] এতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান ৩য় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অর্থ পাঠানো হলেও তা অলসভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে উপবৃত্তির অর্থ দীর্ঘদিন উত্তোলন হয়নি, তা আগামী ২৫ জুনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া জন্য অনুরোধ করা হলো। এরপর উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। অভিভাবকদের কোনো প্রকার দাবি বিবেচনার অবকাশ থাকবে না।
[৪] এ চিঠির প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অনুলিপি পাঠানো হয়। রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পাঠাতে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে প্রগতি সিস্টেম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটিকেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।
[৫] উল্লেখ্য, প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকা করে এবং প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাসিক ৫০ টাকা করে প্রতি তিন মাস পর পর উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীরা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :