শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৮ জুন, ২০২০, ০৫:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৮ জুন, ২০২০, ০৫:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লা মেডিকেলের আইসিইউতে ১৫ দিনে ৩৫ জনের মৃত্যু

মহসীন কবির : [২] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে গত ৩ জুন থেকে এই পর্যন্ত আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন রোগী মারা গিয়েছে। আর ১৬ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ী গিয়েছে। বাকীরা সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। মানবজমিন

[৩] বর্তমানে অত্র হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ৩৯ জন, এ ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৬৭৪ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির আছে ৫৩ জন, এ ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪১২জন। বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি আছে ৮জন ।

[৪] জানা যায়, কুমেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীরা চিকিৎসা পেলেও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না আইসিইউতে যাওয়া রোগীরা।

[৫] সেখানে ডাক্তার, নার্সরা রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিচ্ছে না। রোগী দেখে তারা দৌড়ে পালায়। রোগীর স্বজনরা নিজে অক্সিজেন মাস্কা লাগাতে হচ্ছে। অনেক অনুরোধ করেও তাদেরকে দিয়ে কোন কাজ করানো যাচ্ছে না। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

[৬] তিনি আরো জানান, গত ১৪ জুন তার বাবা শফিকুর রহমান করোনা আক্রান্ত নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার বাবার অবস্থা আশংকাজনক হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর সেখানকার ডাক্তার, নার্সরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাদেরকে অনেকে বলেও কোন কাজ করানো যাচ্ছেনা। তিনি নিজে তার বাবাকে মাস্ক পড়িয়েছেন। তাকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাকে আইসিইউ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেখানে তার বাবার অক্সিজেন মাস্ক খোলে গিয়ে মৃত্যু হয়। তার দাবী ডাক্তার নার্স উপস্থিত না থাকার কারণে এবং তার বাবাকে আইসিইউতে সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়ার কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে।

[৭] এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, আইসিইউতে যারা দায়িত্ব পালন করছে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা বুঝা যাচ্ছে না। আমরা সিসি ক্যামেরা লাগানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউ ভয়ে কাজ করতে চায় না। সিসি ক্যামেরা থাকলে বিষয়টি ভালভাবে মনিটর করা যেত। আইসিইউতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটর করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়