ডেস্ক রিপোর্ট : [২] চূড়ার দলের বিপক্ষে তলানির দলের খেলা। হারানোর কিছু ছিল না লেগানেসের। পয়েন্টের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েও বার্সেলোনাকে ঠেকাতে পারেনি দলটি। আনসু ফাতি ও লিওনেল মেসির দুই অর্ধের দুই গোলে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। ন্যু কাম্পে মঙ্গলবার ২-০ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। ফাতি প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান মেসি। করোনাকালের ফুটবলে বার্সার প্রথম ম্যাচে এক গোলের পাশাপাশি করেছিলেন দুই এসিস্ট। মঙ্গলবার রাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ফের দলের জয়ে প্রত্যক্ষ অবদান রাখলেন মেসি, করলেন এক গোল।
[৩] ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে লেগানেস ডিফেন্ডাররা নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করবেন ওই সিদ্ধান্তের! ভাগ্য মন্দ না হলে অমন পেনাল্টি হয়ত পায় না বার্সা! স্পটকিক থেকে মেসি গোলরক্ষককে ভুল দিকে পাঠিয়ে বল মেরেছেন অন্য প্রান্তে। তাতে ক্যারিয়ারের ৬৯৯ নম্বর গোল পাওয়া হয়ে গেছে মেসির। গোলের পর এক হাত কোমরে দিয়ে, আরেক হাতের তর্জনী উঁচিয়ে নতুন এক উদযাপন করেছেন মেসি। ক্যারিয়ারের ৬৯৯তম গোলের পর অদ্ভুত উদযাপনে মেসি কী বোঝাতে চাইলেন তা তিনিই ভালো জানেন!
[৪] লা লিগার হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশনে মঙ্গলবার রাতে লেগানেসকে নিজেদের মাঠে আতিথ্য দিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচে মাঠের খেলা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও ফল ঠিকই নিজেদের পক্ষে রেখেছে কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা।
[৫] ঘরের মাঠে ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। অবশ্য লাখ খানেক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি ফাঁকা পড়ে থাকলে সেটা আর ঘরের মাঠের সুবিধা দেয় কই! অসম লড়াইয়ে সেই ‘সুবিধাটুকু’ পুরো কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল লেগানেস। তবে ভালো দুটি গোলের সুযোগ মিস করেছে তারা। এর আক্ষেপ নিশ্চই পোড়াবে তাদের।
[৬] কিকে সেতিয়েন ম্যাচের আগেই একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জর্দি আলবা ছিলেন না নিষেধাজ্ঞায়, তার জায়গায় জুনিয়র ফিরপোই নেমেছিলেন। মিডফিল্ডে সার্জিও বুস্কেটসের সঙ্গী হয়ে শুরু করেছিলেন আর্থার আর ইভান রাকিটিচ। আগের ম্যাচে গোল করা মার্টিন ব্রাথওয়েট, আর্তুরো ভিদাল কেউই ছিলেন না একাদশে।আমাদের সময়, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :