ধারাভাষ্যকার ফয়সাল হুসাইন : [২] ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যায়। সেখানেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাজিমাত করেছিলো বাংলাদেশ।
[৩]সেই জয়টাই বাংলাদেশকে যেকোন ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল। কারন সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তান দুর্দান্ত ফর্মে ছিল। প্রবাদ বাক্য ,‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন’। সেখানেই বাংলাদেশ কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল ।
[৪]১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে টানা ৪ বছর জয়হীন ছিল টিম টাইগার। টানা জয়ের খরায় বাংলাদেশ দলের জন্য উপহাস, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও ব্যঙ্গ জুটতো অন্যদের কাছ থেকে।
[৫]খারাপ খেললে অবহেলা করবে এটাই স্বাভাবিক। ২০০৫ সালে অজিদের হারিয়ে এক চমকপদ জয় এনে তুলে নিয়েছিল। এর আগে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ শক্তিশালী ভারতকে ও প্রথমবার হারিয়ে ছিল। সেই জয়টাও বাংলাদেশ দলকে অন্যরকম আত্মবিশ্বাসী করেছিল।
[৬]এরপরে জয়টা বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়মিত না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ম্যাচ জিতত। বড় বড় দলগুলোর তখন বাংলাদেশের সাথে খেলার ব্যাপারে বেশ অনীহা প্রকাশ করতো। একটা দল যদি বড় বড় দলের বিপক্ষে না খেলে তাহলে তাদের উন্নতিই বা হবে কি করে । মূলত বাংলাদেশের জয়ের যে ধারা সেটা রচনা করেছিল কোচ ডেভ হোয়াইটমোর । তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বড় বড় দলের বিপক্ষে জিততে শিখেছিল।
[৭] ধীরে ধীরে বড় বড় দলগুলো বাংলাদেশ দলকে সমীহ করতে শুরু করে। এরপর ২০১৫ সালে একাধারে, ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে সিরিজ জিতে ক্রিকেট দুনিয়াই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল । তারপর বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
[৮]এখন জয়টা যে কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জয়ের জন্য যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল সেটি হল আত্মবিশ্বাস। এখন বাংলাদেশ যেকোন দলের সাথে জয়ের দৃঢ় মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামে। যুবরা বিশ্বকাপ জিতেছে আগামীতে বাংলাদেশও বিশ্বকাপ জয় লাভ করবে এটাই এখন ভক্তদের চাওয়া।
আপনার মতামত লিখুন :