শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০২০, ০৮:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২০, ০৮:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফকিরহাটের বিপাকে পড়েছে চিংড়ি চাষিরা

মো. সাগর, ফকিরহাট প্রতিনিধি : [২] কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে দেশের সাদা সোনা খ্যাত গলদা বাগদা চিংড়ির দাম মারাত্মক কম হওয়ায় ফকিরহাটে চিংড়ি চাষ হুমকির মুখে। উৎপাদন খরচ না উঠায় ফকিরহাটের অধিকাংশ চিংড়ি চাষীরা হতাশায় ভুগছে। এভাবে চলতে থাকলে এ রপ্তানী খাতটি বন্ধের উপক্রম হবে বলে উপজেলার চিংড়ি চাষীরা। যে হারে খরচ হয়, সেই অনুপাতে দাম না পাওয়ায় চিংড়ী চাষীদেরপথে বসার উপক্রম প্রায়।

[৩] ৮০ এর দশক থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ধান চাষের পাশাপাশি চিংড়ি চাষ শুরু হয়। যা থেকে সরকার প্রতি বছর আয় করছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে চিংড়ীর দাম মারাত্মকভাবে দরপতন হওয়ায় খাতটি হুমকির মুখে পড়েছে। কয়েক বছর পূর্বে চিংড়ির গ্রেড হিসেবে বাজার দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ গ্রেড ১২-১৪’শ টাকা। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে দাম কমে চলে এসেছে ৪৫০-৫০০ টাকায়।

[৪] জেলার ফকিরহাট উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীরা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা চরম খারাপ অবস্থায় আছি, লোন নিয়ে চাষ করেছি। এনজিও থেকে কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এদিকে মাছের কোনো দাম নাই। সার, রেণূ পোনা’সহ যাবতীয় খরচ উঠাতেই কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া কিছুদিন আগে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ঘের ভেড়ি ঢুবে গেছে যার কারণে চাষের মাচ সব বের হয়ে গেছে। সরকার আমাদের যদি সহযোগিতা না করে তবে পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

[৫] শুধু চিংড়ী খাত নয়, হিমায়িত মৎস্য চাষীদের ও একই অবস্থা। যে মাছের মণ আগে ১৪-১৫ হাজার টাকা ছিল সেই মাছ ৫-৬ হাজার টাকা মণ বিক্রয় করতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার সব থেকে বড় মৎস্য আড়ৎ ফলতিতা।

[৬] সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে বিশাল এই মৎস্য আড়ৎ। আর বিক্রেতারা মাছ নিয়ে বসে আছে ক্রেতার অপেক্ষায় কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে পুরোপুরি ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়েছে বাজারটি। আর যারা আসছে তার পরিবারের জন্য সামান্য কিছু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন যাতে কোনভাবে লাভবান হচ্ছে না মৎস্য চাষীরা।

[৭] এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে চিংড়ী ও হিমায়িত মৎস্য চাষীরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে,আমরা ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের নাম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে প্রেরণ করেছি।আশা করি খুব দ্রুতই সরকার কর্তৃক প্রনোদনা পাবেন ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীরা। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়